কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর সেরা দর্শনীয় ১০টি স্থান-কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সেরা দর্শনীয় ১০টি স্থান এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার উপায় কি তা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সেরা দর্শনীয় ১০টি স্থান এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার উপায় কি তার বিস্তারিত। বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর হল কক্সবাজার। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা ১২০ কিঃমিঃ দীর্ঘ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর সেরা দর্শনীয় 10টি স্থান এবং যাওয়ার উপায়
কক্সবাজার বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর, পর্যটন কেন্দ্র এবং সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। কক্সবাজারের রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান যা ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে থাকে। তাই কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। তাই চলুন দেখি নি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সেরা দর্শনীয় ১০টি স্থান এবং যাওয়ার উপায় কি তার বিস্তারিত।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড বা একুরিয়াম

    রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড বা একুরিয়াম

    রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কক্সবাজারের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি নতুন সংযোজন। এটি একটি ফিস একুরিয়াম। যার অবস্থান কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায়। এই একুরিয়াম টি তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ফিস একুরিয়াম যেমনটি হয় ঠিক তেমনি। এখানে দেশি লোনা পানি ও মিঠা পানির মাছ ছাড়াও বিদেশি অনেক মাছের দেখা মেলে। রেডিয়ান ফিস ওয়ার্ল্ড একুরিয়ামে রয়েছে প্রায় ২৫০ প্রজাতির দেশী ও বিদেশি মাছ।

    রিয়েলিয়ান ফিস ওয়ার্ল্ড দেখতে হলে আপনাকে ইজিবাইক বা অটো অথবা রিকশাতে করে যেতে হবে। বাস টার্মিনাল , ডলফিন মোড় , সুগন্ধা বা লাবনী পয়েন্ট থেকে জনপ্রতি ইজিবাইকে ১০-১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে পারবেন। এটি খোলা থাকে সপ্তাহে ৭ দিন সকাল ৯ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।এখানে প্রবেশ করার জন্য প্রবেশ মূল্য করা আছে ৩০০ টাকা। তাছাড়া বয়স ভেদে টিকিটের মূল্যের পার্থক্য আছে। এবং বাচ্চাদের জন্য রয়েছে টিকেট ফ্রি।

    সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

      সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

      সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বশেষ দক্ষিণের একটি দ্বীপ যাকে স্থানীয়ভাবে নারকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়। এটি প্রবাল দ্বীপ নামেও পরিচিত। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদী মোহনায় এ দ্বীপটি অবস্থিত। টেকনাফ থেকে এই দ্বীপে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ৫ টি করে লঞ্চ যাওয়া-আসা করে।

      বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশের প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই দ্বীপটি রয়েছে। এই দ্বীপটি তিনটি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশ বা উত্তরপাড়া যাকে নারিকেল জিনজিরা বলা হয়। দক্ষিণ অংশ বা দক্ষিণপাড়া। যার দক্ষিণ অংশে একটি লম্বা লেজের মতো এলাকায় রয়েছে। লম্বা লেজের মত এলাকাকে গলাচিপা নামে বলা হয়ে থাকে।
      সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে ১০০-৫০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি দ্বীপ রয়েছে যা ছেড়াদিয়া বা ছেড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। এই দ্বীপের নিয়মিত জোয়ার ভাটা হয়। যার জন্য এই দ্বীপে কোন মানুষ থাকে না। এক দ্বীপে যেতে হলে জোয়ারের সময় নৌকা এবং ভাঁটার সময় হেঁটে যাওয়া যায়। এই দ্বীপের সৌন্দর্য মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।এখানে গেলে কখনোই কারো ফিরে আসতে মন চাইবে না।

      এর স্বচ্ছ পানি,বড় বড় প্রবাল, পাথরে ঢাকা বিভিন্ন দ্বীপ, নারিকেল বাগান বা নারিকেল জিনজিরা এবং আরো অনেক সৌন্দর্য যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে এই দ্বীপে গিয়ে মাত্র 700 টাকায় স্নরকেলিং এবং মাত্র ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন। এছাড়াও থাকার জন্য বর্তমানে এখানে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেলও রয়েছে। এবং সরকারি একটি ডাকবাংলা আছে। এখানে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলার ব্যবস্থা রয়েছে। যা আপনাকে নিরাপত্তার সাথে ঘুরে বেড়াতে সাহায্য করবে।

      মহেশখালী দ্বীপ

        মহেশখালী দ্বীপ

        মহেশখালী দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এটি কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরে অবস্থিত।এর আয়তন প্রায় ৩৬২ কিলোমিটার। সোনাদিয়া ,মাতারবাড়ি, ধলঘাটা এই তিনটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। মহেশখালী দ্বীপ মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত। তবে মুক্তা ,চিংড়ি, শুটকি, লবণ ,সামুদ্রিক মাছ ও পানের জন্য যথেষ্ট সুনাম আছে এই দ্বীপের।


        সোনাদিয়া দ্বীপ , আদিনাথ মন্দির , বৌদ্ধমন্দির , রাখাইন পাড়া , স্বর্ণমন্দির এবং মৈনাক পর্বতের জন্য মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে। এই দ্বীপে প্রতিবছরের ফাল্গুন মাসে আদিনাথ মেলার আয়োজন করা হয়।এই দ্বীপে সড়ক এবং জলপথ এই দুই পথ দিয়ে যাওয়া যায়। সড়কপথে মহেশখালী যেতে হলে আপনাকে চকরিয়া থেকে বদরখালী সেতু হয়ে যেতে হবে ।


        তবে আপনাকে সড়ক পথে যেতে হলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে যেতে হবে কারণ এ পথে ভাল কোন বাস সার্ভিস নেই। মহেশখালী যাওয়ার জন্য জলজ পথই বেশিরভাগ ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নেই। জলজ পথে যেতে হলে আপনাকে ৬ নাম্বার জেটি ঘাটে যেতে হবে। এখান থেকে আপনি স্পিডবোট নৌকা অথবা লঞ্চে করে খুব অল্প সময়ে মহেশখালী পৌঁছে যাবেন । এবং ভাড়াও ৩০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ।

        রামু বৌদ্ধ বিহার

          রামু বৌদ্ধ বিহার

          রামু বৌদ্ধ বিহার কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় অবস্থিত। রামু বৌদ্ধ বিহার মূলত এর মনোরম পরিবেশ এবং বৌদ্ধদের বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। বুদ্ধ বিহারে রয়েছে বৌদ্ধদের অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এখানে প্রায় ৩৫টিরও অধিক বৌদ্ধ মন্দির আছে। এখানে একশ ফুট লম্বা গৌতম বুদ্ধের সিংহ সজ্জা মূর্তি রয়েছে।। যা স্থানীয়দের মতে , এশিয়ার সবচেয়ে বড় মূর্তি ।

          এটি রামকোট বনশ্রম বৌদ্ধ বিহার চৌমুহনী স্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে রাজারকুল এলাকার পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত। রামু বৌদ্ধ বিহার যাওয়ার জন্য আপনাকে কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি বা অটো চালিত অটো রিক্সা নিয়ে যেতে হবে । রিজার্ভ ছাড়া গেলে ভাড়া পড়বে জোন প্রতি ৪০-৬০ টাকা । এবং রিজার্ভ সহ গেলে ভাড়া পড়বে ২৫০-৩০০ টাকা।

          পাখির স্বর্গ সোনাদিয়া

            পাখির স্বর্গ সোনাদিয়া

            কক্সবাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ও মহেশখালী দ্বীপ থেকে দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপ অবস্থিত। সোনাদিয়া মহেশখালী উপজেলার একটি ছোট এবং সুন্দর দ্বীপ। একটি খাল দ্বারা সোনাদিয়া দ্বীপ মহেশখালী দ্বীপ থেকে আলাদা হয়েছে। এই দ্বীপে প্রায় ৭০ প্রজাতির পাখি দেখা যায় যার জন্য এই দ্বীপকে পাখির স্বর্গও বলা হয়। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী বিলুপ্ত প্রায় -স্পুনবিল স্যান্ডপাইপার, এশিয়ান ডউইচার এবং নরডম্যানস্ গ্রীনশ্যান্ক এই ৩ প্রজাতির পাখি এই দ্বীপে দেখা যায়।


            এছাড়া সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম অংশ বিস্তৃত বালু এবং ঝিনুকের জন্য অনেক বেশি বিখ্যাত। তিনদিকে সমুদ্র সৈকত,কেয়া ও নিশিদার ঝোপ এবং সাগর লতাই ঢাকা বালিয়াড়ি, ছোট বড় খাল বিশিষ্ট প্যারা বন এই দ্বীপকে আরো বেশি সুন্দর ও আকৃষ্ট ময় করে তুলেছে ।

            আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথার (Headache) কারণ ও এর থেকে পরিত্রাণের উপায়

            সোনা দিয়ে দুই ভাবে যাওয়া যায়। প্রথমটি হল মহেশখালী গোরক ঘাটা থেকে ঘটি ভাঙ্গা পর্যন্ত আপনাকে যেতে হবে সিএনজি অথবা অটোতে করে। গৌরব ঘাটা থেকে ঘটিভাঙ্গা দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। এবার গৌরব ঘাটা যাওয়ার পরে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে সোনা দিয়া দ্বীপে যেতে পারবেন। তবে ঘটিভাঙ্গা যাওয়ার পর খেয়ে নৌকার মাধ্যমে সোনাদিয়া চ্যানেল পার হতে হয়। এই চ্যানেলটি ভাটার সময় পায়ে হেটেও পার হওয়া যায়।


            যাদের ভ্রমণে টাকার কোন সমস্যা নেই অর্থাৎ যারা টাকার চেয়ে অ্যাডভেঞ্চারকে বেশি গুরুত্ব দেয় তাদের জন্য দ্বিতীয় রাস্তাটি বেস্ট। আর সেটি হল স্পিড বোটের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়া। এতে ভ্রমণটি অনেক বেশি অ্যাডভেঞ্চারময় হয়।

            লাবনী, সুগন্ধা এবং কলাতলী বীচ

              লাবনী, সুগন্ধা এবংকলাতলী বীচ

              পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষণ হল সমুদ্র সৈকত। আরে সমুদ্র সৈকত উপভোগ করার জন্য আমাদেরকে লাবনী , সুগন্ধা অথবা কলাতলী বীচে যেতে হয়। আর এই বীচগুলো সমুদ্র সৈকতের অনেক কাছে হওয়ায় পর্যটকদের সমুদ্র উপভোগ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাই। লাবনী পয়েন্টে পাবেন ঝিনুক মার্কেট। যেখানে সামুদ্রিক বিভিন্ন জিনিস ছাড়াও অনেক ধরনের আকর্ষণীয় জিনিসপত্র। 


              যা নিয়ে দোকানীরা পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করে। এবং এ দোকানগুলো পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করে।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যতগুলো বীচ আছে এর মধ্যে সুগন্ধা বিচে পর্যটকদের আনাগোনা সবথেকে বেশি। প্যারাসাইলিং , ঘুড়ি উড়ানো , ঘোড়াতে চড়া , বীচ বোট চালানো এবং সারফিং ইত্যাদি এই সবই পেয়ে যাবেন সুগন্ধা বীচে । এছাড়াও অনেক ধরনের সামগ্রিক মাছের শুটকিরও দোকান দেখতে পাবেন এখানে ।


              সুগন্ধা বিচের পাশে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে আপনি চাইলে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই করেও সেখানে বসে খেতে পারবেন।কলাতলী বীজ থেকে লাবনী বিষয়ে যেতে পায়ে হেঁটে 15 মিনিটের মত লাগে। এই বিচের পাশে রয়েছে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট যেখানে খেতে খেতে দেখতে পারবেন মনোরম সূর্যাস্ত। যে আপনার মন এবং চোখকে শান্তি যোগাবে।

              মেরিন ড্রাইভ রোড

                মেরিন ড্রাইভ রোড

                ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রোড পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড যা কিনা বর্তমানে কক্সবাজার ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়। মেরিন ড্রাইভ রোডের একপাশে সমুদ্র অন্য পাশে ছোট বড় পাহাড় ও কোথাও কোথাও পাহাড়ের গা ঘেঁষে ঝর্ণা যা পর্যটকদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। এই রোড কলা তৈরি থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত বর্ধিত ।

                মেরিন ড্রাইভে যেতে হলে আপনাকে কলাতলী বা সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে খোলা জিপ , অটো রিক্সা, মাইক্রোবাস অথবা সিএনজি তে করে যেতে হবে। মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে আপনি হিমছড়ি , ঝাউবন বিচ , হিমছড়িও ইনানীতে যেতে পারবেন।

                হিমছড়ি

                  হিমছড়ি

                  কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে গেলেই দেখা মিলবে হিমছড়ির। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে বিশালাকৃতির সমুদ্র এবং অন্যপাশে রয়েছে ছোট বড় সবুজে ঘেরা পাহাড়। মেরিন ড্রাইভ রোড , বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত , ছোট বড় সবুজের ঘেরা পাহাড় এবং ছোট বড় ঝর্ণা এর সবই যদি আপনি একসঙ্গে দেখতে চান তবে হিমছড়ি আপনার জন্য ।

                  সূর্য অস্ত এবং সূর্যোদয় দেখার জন্য হিমছড়ি পর্যটকদের কাছে আরো বেশি গুরুত্ব পাই। এছাড়াও এখানে রয়েছে হিমছড়ি ইকোপার্ক যেখানে ছোট বড় কিছু ঝর্ণা বিস্তীর্ণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত  ,প্রাকৃতিক নিঃসর্গ এবং এর পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্য অস্ত উপভোগ করার ব্যবস্থা।

                  ইনানী বীচ

                    ইনানী বীচ

                    ভাটার সময় সেন্টমার্টিন এর মত কুড়াল পাথরে ঘেরা এক অপূর্ব বিচ এই ইনানী বিচ। ইনানী বিচ কক্সবাজার ওই হিমছড়ি থেকে যথাক্রমে ২৩ ও ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিচ সাধারণত কক্সবাজারের অন্যান্য বিচ এর মত অত বেশি উত্তল হয় না। এই বিচ থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় খুব ভালোভাবে দেখা যায়।

                    যা কিনা পর্যটকদের আরো বেশি পরিমাণে আকৃষ্ট করে। টেকনাফ গামী মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ঝাউবন এবং হিমছড়ি হয়ে ইন্দ্রানী বীচে আসতে হয়। কক্সবাজার থেকে ইনানী বীচে আসার জন্য সবসময়ই সব ধরনের গাড়ি পাওয়া যায়। সময় ভেদে বিভিন্ন গাড়ির ভাড়া বিভিন্ন হয়।

                    ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

                      ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

                      ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাফারি পার্ক। যা ২০০১ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় তৈরি করা হয় । এটি মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাঘ , সিংহ , চিত্রা হরিণ,প্যারা হরিণ , সম্বর হরিণ , মায়া হরিণ , গায়াল , কুমির , হাতি , ভাল্লুক , জলহস্তী ইত্যাদি প্রাণী রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বনজ প্রাণী যেমন বানর , বন বিড়াল , বন মোরগ , মেসো বিড়াল , চিল , বন্য শুকুর ইত্যাদি অবমুক্ত করা আছে ।

                      এছাড়াও বিভিন্ন সাইজের খাচাতে দেশি বিদেশি জাতের ৮৫ টি পাখি , ১৫০ টি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ৬৯ টি সরীসৃপ প্রাণী রাখা আছে। শীত মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অনেক পাখি এই সাফারি পার্কে আসে। যারা সাফারি পার্কটি কক্সবাজার ও চকরিয়া থানা থেকে যথাক্রমে ৪৮ এবং ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে আসার জন্য খোলা জিপ বা সিএনজি অথবা অটো ভাড়া পাওয়া যায়।
                      প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের(৫-15 বছর) জন্য ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা আছে এই পার্কের জন্য। তবে ৫ বছরের নিচে বয়সের বাচ্চাদের জন্য প্রবেশ মূল্য ফ্রি করা আছে। এছাড়াও বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ ডলার নির্ধারণ করা আছে।

                      এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

                      পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
                      এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
                      মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

                      Club Solver এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

                      comment url