মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ গুলো কি কি

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকে জানার চেষ্টা করছেন ,মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ গুলো কি কি সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। তবে কোথাও তেমন কোনো ভালো বা সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আর তাই আজ আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব,মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ গুলো কি কি তার বিস্তারিত তথ্য।
মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ

শীতকালে মুরগি ও হাঁসের ঠান্ডাজনিত হাঁচি, কাশি, সর্দি, মাথা ফুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়। মুরগি ও হাঁসের ঠান্ডা লাগা এসব একাধিক রোগের চিকিৎসা জানা থাকলে পোল্ট্রি খামারি ভাই-বোনদের অনেকটাই সুবিধে হয়। আর তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে চলেছি,মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ এবং হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ গুলো কি কি সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব,মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ , হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ , মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , ব্রয়লার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , সোনালি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , সোনালি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , দেশি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , টাইগার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , টাইগার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , মুরগির ভিটামিনের তালিকা এবং মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সহ বিস্তারিত তথ্য।

মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ

মুরগির চুনা পায়খানা (চুনা দাগ বা সাদা মল) সাধারণত সংক্রমণ, খাদ্যজনিত সমস্যা, অথবা পরজীবী আক্রমণের কারণে হতে পারে। এটি সঠিকভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। নিচে সমস্যার সম্ভাব্য কারণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো:
সম্ভাব্য কারণ
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ (যেমন সালমোনেলা বা ই-কোলাই)
  • ভাইরাল সংক্রমণ (যেমন নিউক্যাসল রোগ বা ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস)
  • পরজীবী আক্রমণ (যেমন কৃমি)
  • খাদ্যের মান খারাপ হওয়া বা পর্যাপ্ত পানির অভাব
  • অপরিষ্কার পরিবেশ
প্রাথমিক ব্যবস্থা
খাদ্য ও পানি বিশুদ্ধ রাখা
  • মুরগিকে পরিষ্কার এবং সুষম খাদ্য দিন।
  • বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
পরিষ্কার পরিবেশ
  • মুরগির থাকার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
  • ঘরে ভালো বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন।
চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষধ
  • অ্যান্টিবায়োটিক: সংক্রমণ থাকলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন, যেমন টেট্রাসাইক্লিন বা ডক্সিসাইক্লিন।
  • কৃমির ঔষধ: যদি কৃমি আক্রমণ হয়, তাহলে অ্যালবেনডাজল বা ফেনবেনডাজল ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রোবায়োটিকস: মুরগির অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রোবায়োটিক দিতে পারেন।
মুরগির ভ্যাকসিনেশন
  • মুরগির জন্য নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন করুন যাতে ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
  • নিজে থেকে কোন ঔষধ না দিয়ে একজন অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • ভুল ঔষধ বা ডোজ মুরগির অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।
  • সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
আপনার মুরগির সমস্যার ধরন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানালে নির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারব।

হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ

হাঁসের চুনা পায়খানা (সাদা রঙের মল) সাধারণত রোগ বা পরিবেশগত সমস্যার কারণে হতে পারে। এটি নির্ভর করে হাঁসের অবস্থা এবং রোগের কারণের ওপর। নিচে সম্ভাব্য কারণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসার দিকনির্দেশনা দেওয়া হলো:
সম্ভাব্য কারণ
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: যেমন সালমোনেলোসিস বা পাস্তুরেলোসিস।
  • ভাইরাল সংক্রমণ: যেমন হাঁসের ডাক প্লেগ।
  • পরজীবী আক্রমণ: অন্ত্রীয় কৃমি বা অন্যান্য পরজীবীর কারণে হতে পারে।
  • পুষ্টির অভাব: সুষম খাদ্য না পেলে বা পানি দূষিত হলে।
  • অপরিষ্কার পরিবেশ: হাঁসের ঘর অপরিষ্কার বা ভেজা থাকলে।
চিকিৎসা এবং প্রতিকার
১. পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করুন
  • হাঁসের থাকার জায়গা শুকনো এবং পরিষ্কার রাখুন।
  • খাবার এবং পানির পাত্র পরিষ্কার রাখুন।
২. ঔষধ প্রয়োগ
  • অ্যান্টিবায়োটিক:হাঁসের সংক্রমণের জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ:
  • অক্সিটেট্রাসাইক্লিন বা ডক্সিসাইক্লিন।
  • ১ লিটার পানিতে নির্ধারিত ডোজ মিশিয়ে হাঁসকে পান করতে দিন।
  • কৃমির ঔষধ:কৃমি আক্রমণের জন্য হাঁসকে অ্যালবেনডাজল বা লেভামিসল দিন।
  • প্রোবায়োটিকস:
  • অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিক যোগ করুন।
৩. পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ
  • হাঁসের খাদ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, এবং ভিটামিনের সুষম পরিমাণ নিশ্চিত করুন।
  • বিশেষ করে ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধ খাদ্য দিন।
৪. ভ্যাকসিন ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
  • হাঁসের জন্য ডাক প্লেগ এবং অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিন।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
  • হাঁসের চুনা পায়খানা দীর্ঘস্থায়ী হলে অথবা অন্য কোনো লক্ষণ (যেমন দুর্বলতা, খাওয়া বন্ধ, বা অতিরিক্ত পানির পিপাসা) দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
  • নিজে থেকে ডোজ নির্ধারণ না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনার হাঁসের বিশেষ কোনো লক্ষণ জানালে আরও নির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া সম্ভব।

মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

মুরগির ঝিমানো রোগ (যা সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতা বা কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত কারণে হয়) সঠিকভাবে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার জন্য সঠিক কারণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির ঝিমানো রোগের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা ও ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রাথমিক ব্যবস্থা: পরিচ্ছন্ন পরিবেশ: মুরগির খামার সবসময় পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাদ্য: মুরগির খাদ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল যুক্ত করতে হবে।
  • পানির মান: পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ যোগ করা যেতে পারে।
  • অসুস্থ মুরগিকে আলাদা করা: সংক্রমণ ঠেকাতে অসুস্থ মুরগিকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে।
ঔষধ ও চিকিৎসা
অ্যান্টিবায়োটিক
  • যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়, তবে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।
  • টেট্রাসাইক্লিন বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো হয়।
  • এনরোফ্লক্সাসিন ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করুন।
ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট
  • ভিটামিন A, D3, এবং E যোগ করতে হবে।
  • পানিতে ইলেক্ট্রোলাইট (ORS) মিশিয়ে দিন।
ডি-ওয়ার্মিং (কৃমিনাশক)
  • যদি কৃমির কারণে হয়, তাহলে ফেনবেনডাজোল বা লেভামিসোল ব্যবহার করতে হবে।
  • অ্যান্টি-কোকসিডিয়াল ওষুধ (যদি কোকসিডিওসিস হয়)
  • অ্যাম্প্রোলিয়াম বা টল্ট্রাজুরিল ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিকিৎসার আগে ডাক্তারের পরামর্শ
ঔষধ প্রয়োগ করার আগে একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি, কারণ ভুল ঔষধ বা ডোজের কারণে মুরগির স্বাস্থ্য আরো খারাপ হতে পারে।
আপনার খামারে সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য একটি প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।

মুরগির ঠান্ডার ঔষধ

মুরগির ঠান্ডা (সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা) বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, তাপমাত্রা পরিবর্তন, বা ধুলো ও গ্যাসের সংস্পর্শে। এর চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে:
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১. পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার শুকনো এবং উষ্ণ রাখুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে ঠান্ডা বাতাস যাতে সরাসরি মুরগির গায়ে না লাগে।
২. পুষ্টিকর খাদ্য ও পানি
  • মুরগির খাদ্যে ভিটামিন A, C, এবং E যোগ করুন।
  • পানিতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট (যেমন ইলেক্ট্রোলাইট) দিন।
ঔষধ
ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে (যেমন CRD)
১. অ্যান্টিবায়োটিক
  • ডক্সিসাইক্লিন বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
  • টাইলোসিন শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনের জন্য কার্যকর।
২. ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক
  • এনরোফ্লক্সাসিন ঠান্ডা এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের জন্য প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।
সেকেন্ডারি ইনফেকশনের ক্ষেত্রে
  • টিলমাইকোসিন শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
ইমিউন সাপোর্ট
  • ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট (বিশেষত ভিটামিন A এবং C)।
  • হেলথ টনিক মুরগির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
  • নিয়মিত ND (নিউক্যাসল ডিজিজ) এবং IB (ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস) ভ্যাকসিন দিন।
  • খাঁচা, পানি এবং খাবারের পাত্র পরিষ্কার রাখুন।
ডাক্তারের পরামর্শ
মুরগির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা ঔষধের পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ

ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা (শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা) সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঠান্ডা আবহাওয়া, অথবা খামারের অনুকূল পরিবেশ না থাকার কারণে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • পানিতে ভিটামিন C এবং ইলেক্ট্রোলাইট মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
ডক্সি-এ ভেট ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ডাইরোভেট ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম , পিবি-৭১ এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ইএসবি ৩০% এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম এবং মিক্স প্লাস ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
মুরগি যদি দ্রুত শ্বাস নেয়, নাক দিয়ে পানির মতো স্রাব বের হয় বা অবস্থা গুরুতর হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।সঠিক ডোজ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা প্রয়োজন।

ব্রয়লার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

ব্রয়লার মুরগির ঝিমানো রোগ সাধারণত পুষ্টির অভাব, কৃমি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, বা অন্যান্য অসুস্থতার কারণে হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • ভিটামিন A, D3, E, এবং B কমপ্লেক্স মিশ্রিত পানীয় দিন।
  • ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার পানিতে মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
মানুষের বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট ১ টি ২ লিটার পানিতে , নাপা ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিপ্রোসিন ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিভিট ১ টি ৩ লিটার পানিতে এবং চিনি ১০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ভালোমতো মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
যদি ঔষধ ব্যবহারের পরেও মুরগির অবস্থার উন্নতি না হয় বা ঝিমানো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য।

সোনালি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ

সোনালি মুরগির ঠান্ডা (শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা) সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঠান্ডা আবহাওয়া, অথবা খামারের অনুকূল পরিবেশ না থাকার কারণে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • পানিতে ভিটামিন C এবং ইলেক্ট্রোলাইট মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
ডক্সি-এ ভেট ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ডাইরোভেট ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম , পিবি-৭১ এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ইএসবি ৩০% এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম এবং মিক্স প্লাস ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
মুরগি যদি দ্রুত শ্বাস নেয়, নাক দিয়ে পানির মতো স্রাব বের হয় বা অবস্থা গুরুতর হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।সঠিক ডোজ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা প্রয়োজন।

সোনালি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

সোনালি মুরগির ঝিমানো রোগ সাধারণত পুষ্টির অভাব, কৃমি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, বা অন্যান্য অসুস্থতার কারণে হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • ভিটামিন A, D3, E, এবং B কমপ্লেক্স মিশ্রিত পানীয় দিন।
  • ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার পানিতে মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
মানুষের বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট ১ টি ২ লিটার পানিতে , নাপা ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিপ্রোসিন ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিভিট ১ টি ৩ লিটার পানিতে এবং
চিনি ১০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ভালোমতো মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
যদি ঔষধ ব্যবহারের পরেও মুরগির অবস্থার উন্নতি না হয় বা ঝিমানো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য।

দেশি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ

দেশি মুরগির ঠান্ডা (শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা) সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঠান্ডা আবহাওয়া, অথবা খামারের অনুকূল পরিবেশ না থাকার কারণে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • পানিতে ভিটামিন C এবং ইলেক্ট্রোলাইট মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
ডক্সি-এ ভেট ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ডাইরোভেট ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম , পিবি-৭১ এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ইএসবি ৩০% এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম এবং মিক্স প্লাস ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
মুরগি যদি দ্রুত শ্বাস নেয়, নাক দিয়ে পানির মতো স্রাব বের হয় বা অবস্থা গুরুতর হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।সঠিক ডোজ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা প্রয়োজন।

দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

দেশি মুরগির ঝিমানো রোগ সাধারণত পুষ্টির অভাব, কৃমি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, বা অন্যান্য অসুস্থতার কারণে হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • ভিটামিন A, D3, E, এবং B কমপ্লেক্স মিশ্রিত পানীয় দিন।
  • ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার পানিতে মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
মানুষের বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট ১ টি ২ লিটার পানিতে , নাপা ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিপ্রোসিন ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিভিট ১ টি ৩ লিটার পানিতে এবং চিনি ১০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ভালোমতো মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
যদি ঔষধ ব্যবহারের পরেও মুরগির অবস্থার উন্নতি না হয় বা ঝিমানো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য।

টাইগার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ

টাইগার মুরগির ঠান্ডা (শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা) সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঠান্ডা আবহাওয়া, অথবা খামারের অনুকূল পরিবেশ না থাকার কারণে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • পানিতে ভিটামিন C এবং ইলেক্ট্রোলাইট মিশিয়ে দিন।
  • মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
ডক্সি-এ ভেট ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ডাইরোভেট ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম , পিবি-৭১ এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম , ইএসবি ৩০% এক লিটার পানিতে ১ গ্রাম এবং মিক্স প্লাস ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
মুরগি যদি দ্রুত শ্বাস নেয়, নাক দিয়ে পানির মতো স্রাব বের হয় বা অবস্থা গুরুতর হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।সঠিক ডোজ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা প্রয়োজন।

টাইগার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

টাইগার মুরগির ঝিমানো রোগ সাধারণত পুষ্টির অভাব, কৃমি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, বা অন্যান্য অসুস্থতার কারণে হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক ব্যবস্থা
১ . পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
  • খামার উষ্ণ এবং শুকনো রাখুন।
  • ঠান্ডা বাতাস সরাসরি মুরগির উপর যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করুন, তবে খেয়াল রাখুন যেন ধুলো ও গ্যাসের মাত্রা কম থাকে।
২. পুষ্টিকর খাবার ও পানি
  • ভিটামিন A, D3, E, এবং B কমপ্লেক্স মিশ্রিত পানীয় দিন।
  • ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার পানিতে মিশিয়ে দিন।
মুরগিকে শক্তিশালী রাখতে উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করুন।
ঔষধের ব্যবহার
মানুষের বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট ১ টি ২ লিটার পানিতে , নাপা ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিপ্রোসিন ট্যাবলেট ১ টি ৩ লিটার পানিতে , সিভিট ১ টি ৩ লিটার পানিতে এবং চিনি ১০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ভালোমতো মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।এই ঔষধ গুলো সব একসঙ্গে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ মেশানো পানি সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যাবে।
অবশ্যই করণীয়
যদি ঔষধ ব্যবহারের পরেও মুরগির অবস্থার উন্নতি না হয় বা ঝিমানো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত একজন ভেটেরিনারিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য।

মুরগির ভিটামিনের তালিকা

মুরগির সঠিক বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব হলে তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে, যেমন বৃদ্ধি কমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, ডিম উৎপাদনে সমস্যা ইত্যাদি। নিচে মুরগির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের তালিকা দেয়া হলো-

ক্রমিক নং

ভিটামিনের নাম

প্রয়োগ বিধি

প্রয়োগমাত্রা

এডি৩ই

সপ্তাহে ২ দিন সকালের পানিতে

২ লিটার পানিতে ১ মিলি

লিভার টনিক

সপ্তাহে ১ দিন সকালের পানিতে

৩ লিটার পানিতে ১ মিলি

ই-সেল

এক সপ্তাহ অন্তর পরপর ২ দিন

২ লিটার পানিতে ১ মিলি

জিংক

সপ্তাহে ১ দিন সকালের পানিতে

১ লিটার পানিতে ১ মিলি

ক্যালসিয়াম

সপ্তাহে ১ দিন বিকেলের পানিতে

১ লিটার পানিতে ১ মিলি

বিশেষ দ্রষ্টব্য
মুরগির সঠিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য এই ভিটামিনগুলির সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করা প্রয়োজন। পোল্ট্রি ফিডে এই ভিটামিনগুলো সাধারণত যুক্ত থাকে, তবে প্রাকৃতিক খাবার যেমন শাকসবজি, ডিম, মাছ ইত্যাদির মাধ্যমে মুরগিকে এই ভিটামিনগুলো প্রদান করা যেতে পারে।

মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা

মুরগির জন্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন দেয়া হয় যা তাদের রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব ভ্যাকসিন বাচ্চাদের সংক্রমণ, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এখানে মুরগির জন্য কিছু সাধারণ ভ্যাকসিনের তালিকা দেওয়া হলো-

ক্রমিক নং

বয়স

রোগের নাম

ভ্যাকসিনের নাম

প্রকৃতি

প্রয়োগ পদ্ধতি

১-৩ দিন

রাণীক্ষেত+ ব্রংকাইটিস

আইবি+ এনডি

লাইভ

চোখে ফোঁটা

৭-৯ দিন

গামবোরো

আই বি ডি

লাইভ

ফুখে ফোঁটা

১৬-১৭ দিন

রাণীক্ষেত

ল্যাসোটা

লাইভ

চোখে ড্রপ

১৮-২০ দিন

গামবোরো

আই বি ডি

লাইভ

খাবার পানিতে

২৪-২৮ দিন

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা    ( বার্ড ফ্লু )

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা       ( H5N1 )

কিল্ড

চামড়ার নিচে ইনজেকশন

৩০-৩৫ দিন

ফাউল পক্স

ফাউল পক্স

ডি এন এ লাইভ

ডানায়সূচ ফুটানো

৬-৭ সপ্তাহ

রাণীক্ষেত

এনডি

কিল্ড

ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন

৮ সপ্তাহ

ফাউল কলেরা

ফাউল কলেরা

কিল্ড

নির্দেশনা মোতাবেক

৯ সপ্তাহ

ইনফেকশাস করাইজা, সালমোনেলা

করাইজা + সালমোনেলা

কিল্ড

লাইভ

নির্দেশনা মোতাবেক

১০

১২ সপ্তাহ

ফাউল কলেরা

ফাউল কলেরা

কিল্ড

নির্দেশনা মোতাবেক

১১

১৫-১৬ সপ্তাহ

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু)

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1)

কিল্ড

চামড়ার নিচে ইনজেকশন

১২

১৬ সপ্তাহ

করাইজা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত, ব্রংকাইটিস

জি + এনডি +আইবি

কিল্ড

নির্দেশনা মোতাবেক

বিশেষ দ্রষ্টব্য
সঠিক সময় এবং ডোজ নিশ্চিত করার জন্য আপনার স্থানীয় ভেটেরিনারিয়ান বা পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়াও ভ্যাকসিনের জন্য ভালো মানের এবং স্বীকৃত ব্র্যান্ড ব্যবহার করা উচিৎ।
এগুলি সাধারণ ভ্যাকসিন হলেও, স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি ,মুরগির চুনা পায়খানার ঔষধ , হাঁসের চুনা পায়খানার ঔষধ ,মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , ব্রয়লার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , সোনালি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , সোনালি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , দেশি মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , দেশি মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , টাইগার মুরগির ঠান্ডার ঔষধ , টাইগার মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ , মুরগির ভিটামিনের তালিকা এবং মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সহ বিস্তারিত তথ্য।
তাই এই আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে অথবা কোন উপকারে আসে তবে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন এবং আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করবেন।

ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Club Solver এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url